তারিখঃ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

মাননীয়
চেয়ারম্যান মহোদয়,
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার

বিষয়ঃ কস্তুরাঘাটে একটি আধুনিক মানের জেটি নির্মাণের আবেদন।

মহাত্মন,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলাধীন কায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চঃ দাঃ)। মহেশখালী – কক্সবাজার নৌপথে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরী, মামলা – মোকদ্দমা ইত্যাদি কাজে যাতায়াত করেন। একসময় নৌপথে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া হতে কক্সবাজার যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী কস্তুরাঘাটের বহুল ব্যবহার প্রচলন ছিল। তাছাড়া বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনালও এখানেই ছিলো। মূলত এই কস্তুরাঘাটই মূল ঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কালের পরিক্রমায় কস্তুরাঘাট সংলগ্ন নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে ঘাটের কিছু অংশ সম্প্রসারণ করা হলে ভাটার সময় যাত্রী উঠা-নামায় সমস্যা হওয়ায় ৬নং ঘাটকে বিকল্প ঘাট হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এক পর্যায়ে কস্তুরাঘাট বন্ধ হয়ে যায় এবং ৬নং ঘাট দিয়ে যাত্রী যাওয়া-আসা করতে থাকে। এই ৬নং প্রতিনিয়ত যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত টোল আদায় এবং ঘাটে টোল আদায়ে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিদের দ্বারা সাধারণ যাত্রী, পর্যটক, প্রবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষ চরম দুর্ব্যবহারের শিকার হয়। তাছাড়া উভয় ঘাটে মানসম্মত গণপরিবহণ ও সহজে উঠা-নামার জন্য উন্নত মানের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কক্সবাজারের সামগ্রিক উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য্য বর্ধনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে – যা ছিলো এতদঞ্চলের মানুষের কল্পনার বাইরে। এমতাবস্থায় কক্সবাজার কস্তুরাঘাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা, যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করা ও পর্যটক আকৃষ্ট করতে ভরাট হওয়া নদী ড্রেজিং পূর্বক কস্তুরাঘাটে পূনরায় একটি আধুনিক মানের স্থায়ী জেটি নির্মাণ করার জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট সবিনয় আবেদন করছি।

বিনীত নিবেদক

মুহাম্মদ রবিউল হোছাইন
প্রধান শিক্ষক,
কায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মহেশখালী, কক্সবাজার।
মোবাইল নং- 01615614718